ট্রেনের দুটো শিফট চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রুটে চালু করা গেলে মানুষ সহজে কক্সবাজার যেতে পারবে। এতে শুধু রেলের আয় হবে না, মানুষ সেখানে বিনোদনের স্থান খুঁজে পাবে এবং সেটাকে অবশ্যই সাধুবাদ জানাবে।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সাথে মতবিনিময় সভায় চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এসব কথা বলেন। সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এ সভার আয়োজন করে।
মেয়র বলেন, বিপ্লব উদ্যানে আগের যারা মেয়র ছিল, কাউন্সিলর ছিল তারা যে লুটপাট করেছে, দোকান থেকে প্রায় ১০-১৫ কোটি টাকা নিয়েছে এবং সেখানে আবার আরেকটি মার্কেট করার জন্য পুরো বিপ্লব উদ্যান ভেঙে তারা সেখানে বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা করেছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার দ্বিতীয় দিন গিয়ে সব স্থাপনা ভেঙে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি।
আপনারা গেলে দেখতে পারেন। আমি স্পষ্ট বলতে চাই এখানে কোনো চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের স্থান হবে না।
আর যদি কেউ করতে চায় সেটা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে রোধ করব এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
তিনি বলেন, আমি আপনাদের কাছে একটা বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। আমরা যখনই একটা সুন্দর কিছু করতে চাই আমাদের ওপর বাধা দেয় আইন ব্যবহার করে। যেটার জন্য আমরা কিছু পারি না। অতএব আজ আমি একটা সুন্দর পার্ক সেখানে করার জন্য ডিক্লেয়ার করেছি। আমি সেখানে বলছি একটা গ্রিন পার্ক হবে। ওয়াকওয়ে হবে। মানুষ হাঁটবে। কথা বলবে। আড্ডা মারবে। সময় কাটাবে। কিন্তু সেখানে দেখা যাবে একটা অর্ডার আমাকে দিয়ে বসবে এখানে পার্ক করা যাবে না। এই জিনিসগুলো অবশ্যই আপনারা যেহেতু একটা উপরের জায়গায় আছেন আপনারা এগুলো একটু লক্ষ্য রাখবেন যাতে এ ধরনের অর্ডার না আসে। আপনারা যদি এটা করেন তাহলে আমরা আরো ভালো কিছু করতে পারি।
আগ্রাবাদের ডেবার পাড় অত্যন্ত ঐতিহ্যবাহী একটা জায়গা। অন্য সিটি করপোরেশনে আমি দেখেছি তারা কীভাবে একটা দীঘিকে চমৎকার ওয়াকওয়ে করেছে। সন্ধ্যাকালীন সেখানে সবাই কথা বলছে, আড্ডা মারছে। মানুষ শ্বাস নেওয়ার জায়গা সেখানে পাচ্ছে। চট্টগ্রামের ডেবার পাড়ে রেলের কিছু জায়গা কিছু লোক দখল করে রেখেছে। আমি আপনাকে স্পষ্ট বলতে চাই আমাদের সাথে একসাথে কাজ করে দেখেন যদি একটা দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে সেখানে করা যায়, একটা পার্ক যদি করা যায়। আগ্রাবাদ এলাকার মানুষ কোথাও হাঁটতে পারে না, ঘুরতে পারে না। সেখানে যদি আমরা ট্রাস্কফোর্স করে, সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনী সবাইকে যদি একসাথে ইনভলভ করে যারা দখল করে রেখেছে, দখলদারদের বের করে দিয়ে আমরা একটা দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে সেখানে করতে পারি। ইভেন আজকে পলোগ্রাউন্ডের মাঠ দেখেন এমন একটা অবস্থা। এটাও আপনাদের রেলের। কিন্তু সেখানে সারা বছর ভ্যারাইটি শো, ডান্স এগুলো চলতে থাকে। আমার মনে হয় আমাদের খেলার মাঠ নেই। ছেলেরা খেলতে পারে না। ওই মাঠটা শুধু খেলার জন্য উন্মুক্ত করে দিতে চাই। এখানে ভ্যারাইটি শো, এই যে বিভিন্ন মেলার নামে যেগুলো চলে সেগুলো আসলে মানুষ পছন্দ করে না। যানজট লেগে থাকে সারাক্ষণ।
জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে সভায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর, পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান, ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পলাশ, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন চেয়ারম্যান মো. আমিন উল আহসান, ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসির প্রতিনিধি মেজর মাহমুদ বক্তব্য দেন।
পাঠকের মতামত